আর কয়েকমাস পরেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নভেম্বরের সেই লড়াই জিততে মরিয়া বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভোটারদের পক্ষে টানতে দু’জনেই নিয়েছেন নানা পদক্ষেপ। ট্রাম্পও জোরালো প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিয়েছেন।  অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বেআইনিভাবে অবস্থানরত কয়েক লাখ অভিবাসীকে স্বস্তি দিতে ব্যাপক পদক্ষেপ নিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বাইডেন প্রশাসন আগামী কয়েক মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, যাদের স্বামী বা স্ত্রীর আইনি মর্যাদা নেই তাদের স্থায়ীভাবে বসবাস করার অনুমতি দেবে। পরে নাগরিকত্বের আবেদনও করতে পারবেন তারা।

একই সঙ্গে বৈধভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার অনুমতি পাবেন তাঁরা। যারা কমপক্ষে ১০ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তারাই পাবেন এই সুযোগ। স্থানীয় মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস এ ঘোষণা দেয়।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বাইডেন প্রশাসন আগামী মাসগুলোতে মার্কিন নাগরিকদের নির্দিষ্ট কিছু স্বামী-স্ত্রীকে বৈধতা ছাড়াই স্থায়ী বসবাস এবং এরপর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার অনুমতি দেবে। মার্কিন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতে, এর সংখ্যা পাঁচ লাখ হতে পারে।

ওবামা প্রশাসন ২০১২ সালে ডেফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভাল বা ডাকা ঘোষণা করার পর এটিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনথিভুক্ত অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ত্রাণ কর্মসূচি বলা বিবেচনা করা হচ্ছে। ইমিগ্রেশন অ্যাডভোকেসি গ্রুপগুলোর তথ্য অনুসারে, মার্কিন নাগরিকদের প্রায় ১১ লাখ স্বামী-স্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাস করছেন। গ্রুপগুলো বলেছে, তাদের মার্কিন নাগরিক করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ১৬ বিলিয়ন ডলার যোগ হবে।

এদিকে বাইডেনের এমন পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত পাস হবে কিনা তা নিয়ে দ্বিধা রয়েছে। কারণে এ বছরের শুরুর দিকে সিনেটে উত্থাপিত একটি পৃথক দ্বিদলীয় বিল প্রশাসনের সমর্থন অর্জন করেছিল। কিন্তু তা রিপাবলিকানদের কারণে পাস করা সম্ভব হয়নি।